বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
রাজশাহীতে অর্ধশত বোতল ফেনসিডিল-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলে সেজেছে মাঠ, মধু সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে মৌ-চাষীরা রাজশাহীতে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মিথিলা-সহ গ্রেফতার ২৭ শ্যামনগরে হিংস্র মহিষের আক্রমণে ছয় জন গুরুতর আহত খুনিরা অধরা পাবনায় জুলাই আগষ্ট বিপ্লবে নিহত-আহতদের পরিবার আতংকিত শহীদ নিলয়ের পরিবার ভয়ে মামলা করেনি ভিসি প্রো-ভিসি নিজেরাই কোটার সুবাধে চেয়ারে বসে আছে-রাবি কর্মচারী পাবনায় চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক ডিপুটি স্পিকার কারাগারে পাবনায় মোটর সাইকেল ছিনতাই ২জন গ্রেফতার মোটরসাইকেল উদ্ধার রাজশাহীর তানোরে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী জামিনুরের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ শ্যামনগর প্রধান সড়কে বিচালী ইট কাঠ নেটের ঘেরা

শ্বশুর বাড়ীতেই ভায়রা খুন র‌্যাবের হাতে আসামী গ্রেফতার

Reading Time: 2 minutes

কামরুল হাসান,ময়মনসিংহ :
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চাঞ্চল্যকর ছোট ভায়রা কর্তৃক বড় ভায়রাকে খুনের
ঘটনায় মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী দীর্ঘ ০৯ বছর পলাতক
থাকার পর ময়মনসিংহ শহর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যা ব – ১৪, ময়মনসিংহ।
১৮ মে বৃহষ্পতিবার অনুমান সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটের সময় র‌্যাব – ১৪
ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মুক্তাগাছা থানার
চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম বাবুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক
আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে
র‌্যাব – ১৪ ময়মনসিংহ। আসামী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন
কান্দাপাড়া হরিপুর দেউলী গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র। ভিকটিম আবুল কালাম বাবুল ও আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল দুজন আত্মীয়।  বাবুল বড় ভায়রা ও আসামী হাবিবুর ছোট ভায়রা। তারা উভয়েই মুক্তাগাছা থানাধীন মহেশবাড়ী গ্রামে বিয়ে করে। তাদের শ্বশুড়ের নাম মো. আব্দুল বারেক। ঘটনাটি টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে তাদের শ্বশুড়ের বাড়ীতে ঘটে। গত ১৭ এপ্রিল ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন মহেশবাড়ী গ্রামে শ্বশুড় মো. আব্দুল বারেক এর বাড়ীতে ভায়রা দুজন বেড়াতে আসে। ছোট ভায়রা হাবিবুর রহমান বড় ভায়রা বাবুলের কাছে টাকা পাওনা ছিল। শ্বশুড় বাড়ীতের এসে এই টাকা লেনদেন হয়। লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। দুজনের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে, ছোট ভায়রা (পাওনাদার) আসামী হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল ইসলাম পেপসির কাচের বোতল দিয়ে বড় ভায়রাকে (দেনাদার) ভিকটিম আবুল কালাম বাবুল এর মাথার ডান পাশে আঘাত করলে ভিকটিম বাবুল মাটিতে পড়ে যায় এবং উপর্যুপরি আসামী হাবিবুর লোহার ছেচনি দিয়ে ভিকটিমের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়। অবস্থা আশংঙ্কাজনক হলে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ভিকটিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। ২০ এপ্রিল ২০১২ খ্রি.ভিকটিমের বাবা মো. আব্দুল মালেক পিতা- মৃত হাজী আ.
রশীদ ফরাজী, সাং- তেলিগ্রাম, থানা- ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বাদী হয়ে
আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করে। এই
দিকে, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ভিকটিম বাবুল ১৩ মে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে
মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয় এবং
পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে। জামিনে থাকা অবস্থায় আসামী পালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর, এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গত ১৮ মে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৮ মে সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ৪০মিনিটের সময় র্যা ব – ১৪ ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন টাউন হল মোড় এলাকা হতে আবুল কালাম বাবুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল ইসলাম’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, উপরোক্ত ঘটনার মত কোন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও
গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com